নির্বাচন পেছানো নিয়ে এ কি বললেন চরমোনাই পীর


ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাইর পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেশের গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। বেশির ভাগ রাজনৈতিক দলের যৌক্তিক দাবি উপেক্ষা করে জাতীয় নির্বাচনের জন্য কোনো সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি না করে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের তফসিল ঘোষণা দুর্ভাগ্যের বিষয়।

দেশবাসী চায় সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় না নিয়ে তফসিল ঘোষণা করায় জনগণ চরম হতাশ হয়েছে। আমরা আশা করব ক্ষমতাসীন সরকার এবং নির্বাচন কমিশন সব রাজনৈতিক দলের জন্য গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ পরিবেশ সৃষ্টি করবে। কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য তিনি নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার দাবি জানান।

জনসভায় চরমোনাইর পীর আরো বলেন, তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে সরকার পাতানো নির্বাচনের চক্রান্তে মেতে উঠেছে। নির্বাচন নিয়ে জনমনে যে ভয় ও শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে, সংলাপের মাধ্যমে তার অবসান ঘটিয়ে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সৃষ্টি এবং নির্বাচনের দিন সেনাবাহিনী মোতায়েন করা এবং ভোটগ্রহণে ইভিএম বাতিলেরও দাবি জানান।

গতকাল শুক্রবার নগরীর নিউ মার্কেট সংলগ্ন বায়তুন নূর মসজিদ চত্বরে দলের খুলনা মহানগর ও জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জনসভায় দলের খুলনা মহানগর সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক সভাপতিত্ব করেন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের নায়েবে আমির অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ ইমরান, নগর সহসভাপতি মাওলানা মুজাফ্ফার হোসাইন, জেলা সহসভাপতি মাওলানা আবু সাঈদ, মাওলানা রেজাউল করীম, নগর সেক্রেটারি মুফতি আমানুল্লাহ, জেলা সেক্রেটারি শেখ হাসান ওবায়দুল করীম প্রমুখ।

জনসভার সভাপতি জনসভা ডাকবাংলা সোনালী ব্যাংক চত্বরে করতে না দেয়ার তীব্র নিন্দা জানান।